কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, ঘাতক গ্রেপ্তার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুন ২০২৫
সিলেট প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার নবম শ্রেণির ছাত্রী নাফিসা জান্নাত আনজুমকে (১৫) স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করতেন প্রতিবেশী জুনেল মিয়া (৩৯)। গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে আনজুম পাশের গ্রামে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় জুনেল আনজুমের পিছু নেন। আনজুম এড়িয়ে যেতে চাইলে জুনেল পিছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরেন। তখন আনজুম চিৎকার করলে জুনেল তার গলা হাত দিয়ে চেপে ধরেন। একপর্যায়ে আনজুম অচেতন হয়ে পড়লে ওই এলাকার কিরিম শাহ মাজারসংলগ্ন জঙ্গলঘেরা নালায় ফেলে চলে যান তিনি।
আনজুম হত্যায় আটক প্রতিবেশী জুনেল মিয়া (৩৯) জিজ্ঞাসাবাদে এমন বর্ণনা দিয়েছেন বলে সোমবার দুপুরে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে পুলিশ জানায়।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের সিংগুর গ্রামে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় আনজুম। এর দুই দিন পর গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশে একটি নালা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে গতকাল রোববার ওই ছাত্রীর প্রতিবেশী জুনেলকে আটক করা হয়।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, আলামত উদ্ধারের জায়গা ও নারীঘটিত কিছু বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহ করে পাশের বাড়ির জাইর মিয়ার ছেলে জুনেল মিয়াকে (৩৯) আটক করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন জুনেল। জিজ্ঞাসাবাদে জুনেল পুলিশকে জানান, আনজুম তার বাড়ির সামনের একটি রাস্তা দিয়ে প্রায়ই স্কুল ও প্রাইভেটে আসা-যাওয়া করত। সেই সুবাধে জুনেল তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার আনজুম পাশের গ্রামে প্রাইভেট পড়া শেষে রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। ফেরার পথে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কথা বলতে বলতে জুনেল আনজুমের পিছু নেন। আনজুম এড়িয়ে যেতে চাইলে জুনেল পিছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরেন। তখন আনজুম চিৎকার করলে জুনেল হাত দিয়ে তার গলা চাপ দিয়ে ধরেন। একপর্যায়ে আনজুম অচেতন হয়ে পড়লে ওই এলাকার কিরিম শাহ মাজারসংলগ্ন জঙ্গলঘেরা নালায় ফেলে রাখে চলে যান। এ ঘটনায় কুলাউড়া থানায় আনজুমের মা নাসিমা আক্তার লাকী একটি হত্যা মামলা করেন।