হবিগঞ্জে ৪৫ মিনিট পর কেন্দ্রে পৌছায় দেয়া হয়নি পরীক্ষার সুযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ জুন ২০২৫
দেশ ডেস্ক:: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর ৪৫ মিনিট পর কেন্দ্রে পৌঁছায় পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হয়নি এক পরীক্ষার্থীকে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন চলছে তোলপাড়। চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।
যদিও হল সুপার জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর পরিবারসহ স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জানা যায়- পরীক্ষা হলে যখন সবাই পরীক্ষা দিতে ব্যস্ত, তখন মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে হতাশায় আলিফ সোবহান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ঝর্ণা আক্তার। ঝর্ণার অভিযোগ ৪৫ মিনিট পর কেন্দ্রে পৌঁছায় তাঁকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
ঝর্ণা আক্তার বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকায় সিলেটে নানার বাড়িতে ছিলাম। ভেবেছিলাম সকাল সকাল গিয়ে আমি পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হব। কিন্তু পথিমধ্যে পথে বাসে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেরি হয়ে যায়। ফলে আমি কেন্দ্রের ভিতর যেতে পারলেও শিক্ষকরা আমাকে হল থেকে বের করে দেয়।’
ঝর্ণা বলেন, ‘আমি বার বার তাদেরকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ চাইলেও তারা তা দেননি।’
শিক্ষার্থী ঝর্ণার ভাই ইমন মিয়া বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে ঝর্ণা সিলেটে নানাবাড়িতে অবস্থান করছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বাসে মিরপুরের উদ্দেশে রওনা দিলে পথে বাসে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেরি হয়। পৌণে ১১টায় কেন্দ্রে পৌঁছালে তাঁকে হল থেকে বের করে দেন শিক্ষকরা।’
মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র প্রধান মো. আমির উদ্দীন বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর দেরিতে আসার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ঝর্ণাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়ার সুযোগ ছিলো না।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী ১ ঘন্টা দেরি করে কেন্দ্রে যায়। যেহেতু আইন অনুযায়ী সে পরীক্ষা দিতে পারে না। তাই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যদিও অনেকেই বলছেন, মেয়েটির ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া উচিত ছিল।’