দুই কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হওয়া উচিত: শফিকুর রহমান
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুন ২০২৫
সিলেট প্রতিনিধি:: সম্প্রতি গ্রেপ্তার দুই সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পরিণতি থেকে বর্তমান নির্বাচন কমিশনসহ আমাদের সবার শিক্ষা নেওয়ার আছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, দুটি কারণে জাতীয় সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেটের বন্দরবাজার এলাকার একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন।
কারণ দুটি ব্যাখ্যা করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘একটা কারণ হলো—হিউজ পাবলিক সাফারিং (জনভোগান্তি) হচ্ছে। এখন কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি চারটি টায়ারের (স্তরের) কোনো জায়গায় নেই। শুধু ইউনিয়ন পরিষদে আছে। আবার ইউনিয়ন পরিষদের অনেকে এখন নিজের জায়গায় দায়িত্ব পালন করছেন না। পুরোপুরি জাতীয় সরকারের সব টায়ারে বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজমান। তাড়াতাড়ি এটার সমাধান না হলে জনদুর্ভোগ যেটা হচ্ছে, এটার দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, রাজনৈতিক দলগুলোরও। এ জন্য আমরা এ ব্যাপারে জোরালো আওয়াজ তুলেছি।
দ্বিতীয় কারণ হলো—জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যদি স্থানীয় নির্বাচন হয়, তাহলে এই নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও দক্ষতার প্রমাণ যাচাই করতে পারবে। এই দুটি কারণে আমরা মনে করি, আগে আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রথম প্রশ্নটি হলো, আমাদের আস্থা আছে কি না নির্বাচন কমিশনের ওপর। আস্থার বিষয়টি তো নির্ভর করে পারফরম্যান্সের ওপর। তারা (কমিশন) তো কোনো পারফরম্যান্সই দেখায়নি। আবার দু-একটা দেখাতে গিয়ে উল্টাপাল্টা ব্যাটিং হয়ে উইকেট আউট হয়ে গেছে। এ জন্য আমরা এটা যথার্থ মনে করি, দুইটা কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হওয়া উচিত।’
অন্তর্বর্তী সরকার ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা করেছে। তারিখ এবং দিবসের নাম প্রসঙ্গে জামায়াতের সর্বোচ্চ শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘দেখুন, নাম আমরা দিইনি। তারা (সরকার) নাম দিয়েছে। এই নাম নিয়ে আমাদের কোনো টানাটানি নেই। নাম যদি বদলে আরও ভালো কোনো নাম দেন, ভালো। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু দিবস হিসেবে কোনটা হওয়া উচিত? অবশ্যই ৫ আগস্ট হওয়া উচিত।’
নুর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে নগরে বন্দরবাজার এলাকার কুদরত উল্লাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে ‘অর্থসহ আমপারা মুখস্থ প্রতিযোগিতা ২০২৫-এর পুরস্কার বিতরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শফিকুর রহমান।
নুর ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান মুকতাবিস-উন-নূরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সভাপতি অধ্যক্ষ মাসউদ খান, সিলেট ইসলামিক সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফজলুর রহমান, আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআনের সভাপতি সৈয়দ একরামুল হক, দাওয়াতুল ইসলাম ইউকের সাবেক আমির হাফিজ শফিকুর রহমান মাদানী, জাতীয় ইমাম সমিতির মহাসচিব শাহ নজরুল ইসলাম ও ইক্বরা ইন্টারন্যাশনাল ইউকের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজির আহমদ।