পাথর কোয়ারি নিয়ে উত্তাল সিলেট, ডিসিকে অপসারণে আল্টিমেটাম আরিফের
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুলাই ২০২৫
সিলেট ডেস্ক:: সিলেটে পাথর কোয়ারি চালু ও পরিবহন সংকট নিরসনের দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবি করে সরব হয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ৪ জুলাইয়ের মধ্যে জেলা প্রশাসককে অপসারণ না করা হলে ৫ জুলাই (শনিবার) থেকে সিলেটে সর্বাত্মক পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে।
বুধবার (২ জুলাই) নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় পাথর শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে গিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরিফুল হক বলেন, নোটিশ ছাড়াই বৈধ ক্রাশার মেশিনগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং সওজের জায়গায় থাকা স্থাপনাও সময় না দিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত ও ক্ষুব্ধ। তিনি জেলা প্রশাসককে অদক্ষ ও ব্যর্থ উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান প্রশাসন ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ধ্বংস করছে।
এদিকে, পাথর ও পরিবহন ব্যবসায়ীদের যৌথ সংগঠন সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ থেকে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, বৈধ ক্রাশার মেশিনে অভিযান বন্ধ, ট্রাক জব্দ ও চালক হয়রানি বন্ধ এবং জেলা প্রশাসকের অপসারণ।
সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক শাব্বীর আহমদ ফয়েজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রথমে আমরা মানবিক কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু জেলা প্রশাসক সিলেটবিদ্বেষী আচরণ করেছেন। এজন্য পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে শনিবার থেকে ধর্মঘট শুরু হবে। পরে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো বন্ধ ঘোষণার পর গত ১৪ জুন জাফলং পরিদর্শনে যান বিদ্যুৎ ও পরিবেশ উপদেষ্টা। সেসময় স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তারা। এরপর এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৩০০টি পাথর ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রশাসন।
সাম্প্রতিক এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে ২৪ জুন সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে ব্যবসায়ী ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। সমাবেশে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির নেতারা আন্দোলনে সংহতি জানান। পাথর কোয়ারি ইস্যুতে প্রশাসনিক অবস্থান ও রাজনৈতিক উত্তাপ দুই মিলিয়ে সিলেটে অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে। দাবি না মানলে সামনে আরও বড় ধরনের অচলাবস্থা সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।