আবারো নতুন করে মামলার জালে বিএনপি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ অক্টোবর ২০১৫
দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে প্রায় এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে বিএনপি। দলের এ অবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে কিছুদিন আগ থেকেই পুনঃগঠন শুরু করেছে দলটি। তবে এমন সময়েই নতুন করে আবারো মামলার জালে পরেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ রাজনৈতিক দলটি।
গত ৫-ই জানুয়ারি ইস্যুতে বিভিন্ন মামলার জালে পরে বিএনপি। এরপর মামলা থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পেলেও নতুন করে আবারো মামলায় জালে পরেছে দলটির নেতা-কর্মীরা। সর্বশেষ গত ৫ অক্টোবর সোমবার বিকেলে নতুন করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ যশোর জেলা বিএনপির ৩৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা করা হয়েছে।
অন্যদিকে জাপানি নাগরিক হোসি কোনিওকে গুলি করে হত্যার ঘটনার অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে কাউনিয়া থানায় মামলা করেছে পুলিশ। এরপর গত ৩ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব-উন-নবী সোহেলের ছোট ভাই এবং রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদ-উন-নবী ওরফে বিপ্লব ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান ওরফে লাকুকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁদের পরিবার।
এদিকে বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের ছোট-খাটো নেতাকর্মীদের নামেও রয়েছে অসংখ্য মামলা। বিএনপির একটি সূত্রে জানা গেছে, দলের কোনো কোনো নেতার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলাও রয়েছে। খোদ বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও ১৮টি মামলা ঝুলছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছে। নাইকো ও গ্যাটকো মামলাও সচল হয়েছে।
অন্যদিকে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও এ পর্যন্ত অন্তত অর্ধশত মামলা হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধেও রয়েছে ৮৩টি মামলা।
মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজামান দুদু, গাজীপুরের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বেশকিছু নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। সারাদেশে তাদের ২০ হাজার নেতাকর্মী কারাগারে আছে বলেও বিএনপির নেতাদের দাবি।
নতুন করে মামলার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনা প্রধান লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে বলেন, ‘বর্তমান সংসদে কোনো বিরোধী দল নেই। আমরা জনগণের কথা তুলে ধরি। আমরাই বিরোধী দলের ভুমিকা পালন করছি। এজন্য সরকার এটা সহ্য করতে পারছে না এবং সরকার চায় সরকারের বিরোধী যেন কেউ না থাকে।’