জানুয়ারিতে উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতির মাঠ!
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ অক্টোবর ২০১৫
আগামী জানুয়ারিতে সরকার পতনের চুড়ান্ত আন্দোলনে নিয়ে মাঠে নামার চিন্তাভাবনা করছে ২০ দলীয় জোট। অন্যদিকে ২০ দলকে মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীন ১৪ দল। আবারও এই দুই জোটের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত আশঙ্কা করছে অনেকে।
বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস ঘোষণা করেছে। গত বছরের ন্যায় বিএনপি আগামীতেও এ দিবসটি ব্যাপকভাবে পালন করবে বলে জানা গেছে। বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, এই দিবসটির কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই বিএনপি সরকার পতনের চুড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দিতে পারে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, বিগত দিনে বার বার সরকার বিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থ হলেও এবার কৌশলগত আন্দোলন করবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল। আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে জেলা-উপজেলা থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছে তারা। ইতোমধ্যে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অধিকাংশ সম্মেলন শেষ করেছে বিএনপি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে কেন্দ্রীয় সম্মেলনের উদ্যোগ নিবেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন কাঠামোও গড়ে তুলবে বিএনপি।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। গণতন্ত্র রক্ষায় তাদের সংগ্রাম চলবেই। বর্তমানে আমাদের দল পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন-সংগ্রামও হবে।
এদিকে আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ দিবস ঘোষণা করেছে। প্রতিবছর এ দিবসটি পালন করেব তারা। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ এ কর্মসূচি নিয়ে বড় ধরণের শোডাউন করবে বলে জানা গেছে।
গত বছরের জানুয়ারি মাসে এই কর্মসূচি নিয়েই আওয়ামী লীগ-বিএনপি মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনায় উত্তপ্ত হয়েছিল রাজনৈতিক অঙ্গন। পরবর্তীতে সরকারের অঘোষিত অবরোধের কারণে বড় ধরণের কোন অঘটন ঘটেনি।
এদিকে ক্ষমতাসীনরা দলকে শক্তিশালী করতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সম্মেলনও শেষ করেত চায়। দেশের জনগণের জানমাল রক্ষার্থে বিএনপি জোটের যে কোনো ধরনের নাশকতামূলক আন্দোলন ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মাঠে থাকারও ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ চৌধুরী বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। কে, কি করল তা দেখার কাজ আওয়ামী লীগের নয়। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। তবে যদি মানুষের ক্ষয়-ক্ষতি করা হয় তখন আওয়ামী লীগ ভেবে দেখবে।