বিয়ানীবাজার কলেজে লিটু হত্যা : গ্রেফতার ৪, ছাত্রলীগের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুলাই ২০১৭
দেলোয়ার হোসাইন, সিলেট থেকে: সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত খালেদ অহমদ লিটু (২৩) হত্যার ঘটনায় নিহতের পিতা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং (১৩) ১৭/০৭/১৭। মামলার এজাহারে ফাহাদ, এমদাদ, কামরান, দেলোয়ার, শিপু, কাওছার ও সাহেদের নাম উল্লেখ করা হয়। বাকীরা অজ্ঞাতনামা।
আসামীদের সবাই উপজেলা ছাত্রলীগের পাভেল গ্রুপের নেতাকর্মী। এদের মধ্যে ফাহাদ, কামরান ও এমদাদকে ঘটনার পরই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আটক করা হয়। অপর আসামি দেলোয়ারকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে গত সোমবার রাতে কলেজ রোডের সবজি বিক্রেতার চৌকির তলা থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আটক তিন ছাত্রলীগ নেতার স্বীকারোক্তিতে অস্ত্রটি উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যা মামলায় আটককৃত ৪ জনকে গত ১৮ জুলাই মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে খালেদ অহমদ লিটু হত্যা ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং সিলেট জেলা ছাত্রলীগের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য লক্ষ্য করা গেছে। গত ১৭ জুলাই সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ ও রায়হান চৌধুরী এক যুক্ত বিবৃতিতে বিয়ানীবাজারে নিহত খালেদ আহমদ লিটুকে বহিরাগত হিসেবে অভিহিত করেছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিটু একজন বহিরাগত সন্ত্রাসী হিসাবে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে এবং অবৈধ অস্ত্রের ম্যাগাজিন লোড করতে গিয়ে একটি রুমে অসাবধানতাবশত নিজের গুলিতে নিজেই নিহত হন লিটু। জেলা ছাত্রলীগ তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের কোন কার্যক্রম নেই বলেও দাবি করা হয়। নিহত খালেদ আহমদ লিটুকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে প্রচারকে স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল ষড়যন্ত্রকারীদের কাজ বলেও অভিযোগ করে ছাত্রলীগ।
ওপর দিকে সোমবার দুপুরে ঘটনার সময় সিলেটে অবস্থান করছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। ঘটনার পর ফেঞ্চুগঞ্জে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এস এম জাকির হোসাইন। এ সময় তিনি লিটুকে ছাত্রলীগের কর্মী দাবি করে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের শাস্তিরও দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই সোমবার সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে শ্রেণীকক্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন বহিরাগত ছাত্রলীগকর্মী খালেদ আহমদ লিটু। লিটু ছাত্রলীগের পাভেল গ্রুপের কর্মী বলে জানা যায়।