বিয়ানীবাজারে অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুলাই ২০১৭
সংবাদদাতা:: টানা কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। এছাড়াও রাস্তাঘাট পানির নিচে থাকায় সকল দিক বিবেচনা করে উপজেলার ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠান কতৃপক্ষ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানান, বন্যায় পানি উপজেলার ১৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে ডুকে পড়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সড়ক ও মাঠ তলিয়ে গেছে আরও ২৭টির। যার কারণে ৪০টি বিদ্যালয় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে সেগুলোতে বন্যার কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম রয়েছে।
আজ সোমবার কুশিয়ারা নদীর ৫টি অংশের ডাইক ভেঙ্গে তলিয়ে যায় উপজেলার বিস্তির্ণ এলাকা। এ পর্যন্ত ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে দুর্গত এলাকার বাড়িঘর, রাস্তা-ঘাট। প্রায় ১৫টি হাটবাজার বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। গত শনিবার সোনাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে নদী তীরবর্তী শানেশ্বর বাজার ও আশপাশ এলাকা। দুর্গত এলাকায় শনিবার থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার উপজেলার দুবাগ ও মুড়িয়া ইউনিয়নসহ বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এসব এলাকায় সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ শুরু হলেও তা একেবারেই অপ্রতুল।
উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুম মিয়া বলেন, ‘বন্যার পানিতে বিদ্যালয়ের ভেতরসহ রাস্তা ঘাট ও মাঠ তলিয়ে যাওয়ায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি নেমে গেলে যথারীতি পাঠদান শুরু হবে।