ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের পূনর্মিলনী : সে এক অপূর্ব মিলন, অপূর্ব দৃশ্য
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুলাই ২০১৭
স্মৃতি রোমন্থন ও আনন্দ আড্ডার মধ্য দিয়ে অপুর্ব একটি দিন কাটালেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা । কিছুক্ষণের জন্য তাঁরা যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন ঢাবি ক্যাম্পাসে ফেলে আসা স্মৃতির ভুবনে। কেউ অর্ধ শতাব্দির আগের সহপাঠীকে কাছে পেয়ে পরম আবেগে জড়িয়ে ধরেছিলেন বুকে। সে এক অপূর্ব মিলন, অপূর্ব দৃশ্য।
৮ জুলাই শনিবার ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইউকে’র আহবানে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা ছুটে এসেছিলেন পূর্ব লন্ডনের অভিজাত মে-ফেয়ার ভেন্যুতে। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান রূপ নিয়েছিলো মিলনমেলায়। ১৯৫৭ সালের গ্রাজুয়েট থেকে শুরু করে বিভিন্ন দশকের শিক্ষার্থীরা এতে যোগদেন ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের প্রাক্তণ ছাত্র সাংবাদিক বুলবুল হাসান ও একই বিভাগের সাবেক ছাত্রী সৈয়দা সায়মা আহমেদের পরিচালনায় এই পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি রহমান জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার খান । এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই শিক্ষার্থীকে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়। কর্নওয়াল থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা ঢাবির প্রাক্তণ ছাত্র খালেদা আক্তার বলেন, ”কলা ভবন কিংবা টিএসসির মনোরম সুন্দর দিনগুলো আজও আমাকে হাতছানি দেয়। আর সে কারনেই এই ছুটে আসা’।
বৃটেনে প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের এই প্রাণের উৎসবে অংশ নিতে ইংল্যান্ড ছাড়াও স্কটল্যান্ড, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলসের বিভিন্ন শহর থেকে প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী ফাহমিদা নবী। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২১ সালে যুক্তরাজ্যে আরো বড়ো পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে সংগঠনের সদস্যরা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি